সন ৬৪২ , হিজরি ২১ , খালিদ বিন ওয়ালিদ(রাঃ) শুয়ে আছেন বিছানায়।
.
শরীরটা এখন একটু বেশিই খারাপ। যুদ্ধের ময়দান থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে অনেক দিন হল । এখন তিনি বুঝতে পারছেন পৃথিবীর এই জীবন থেকে অব্যাহতি নেয়ার সময়ও হয়ে এল বলে।
.
এই তো তার বিছানার পাশে বসে আছেন তার এক পুরোন বন্ধু। অসুস্থ খালিদকে দেখতে এসেছে সে,
.
খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) তার ডান পা এর ওপর থেকে চাদর সরালেন , তারপর তার বিছানার পাশে বসে থাকা বন্ধুটিকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ
“দেখোত। আমার পায়ে তুমি কি এমন এক হাত পরিমান জায়গা দেখতে পাও যেখানে তলোয়ার বা তীর বা বল্লমের কোন ক্ষত নেই?”
.
খালিদে (রাঃ) এর বন্ধুটি তার ডান পায়ের দিকে তাকালো।
নাহ! পুরো পায়েই অসংখ্য ক্ষত চিহ্ন। এক হাত পরিমান জায়গা খুজে পাওয়া গেল না যেখানে কোন ক্ষত নেই।
.
বন্ধুটি মাথা নেরে সম্মতি জানালো যে ডান পায়ে এক হাত পরিমান জায়গা খালি নেই যেখানে কোন ক্ষত চিহ্ন নেই।
.
এরপর খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) তার বাম পা এর ওপর থেকে চাদর সরাল। এরপর ডান হাত দেখালো তারপর বা হাত। এরপর সে তার বুক খুলে দেখালো আর সেই একই প্রশ্ন করল ।
.
বন্ধুটি অবাক হয় ! তার পুরো শরীরে অসংখ্য ক্ষত চিহ্ন। এত ক্ষত বিক্ষত হওয়ার পরও কিভাবে একটা মানুষ বেচে থাকে সেটাই একটা বিস্ময়।
.
“তুমি কি দেখছো না?” অধৈর্য খালিদ প্রশ্ন করে। “আমি অসংখ্য যুদ্ধে শহীদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে অংশ গ্রহন করেছি, কেন যুদ্ধের ময়দানে আমার মৃত্যু হল না?”
.
খালিদের এই প্রশ্নের উত্তরে তার বন্ধু বললঃ
“তুমি যুদ্ধের ময়দানে মরতে পারো না।”
.
খালিদ(রাঃ)ঃ কেন না?
.
“বুঝতে চেষ্টা কর খালিদ, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তোমার নাম দিয়েছিলেন ‘আল্লাহর তরবারি’ তিনি এটা (আল্লাহর ইচ্ছায়) আগেই নির্ধারন করে গেছেন যে তুমি কখনওই যুদ্ধের ময়দানে ঝরে পরবে না। যদি কোন কাফির তোমাকে হত্যা করত তাহলে তার অর্থ দাড়াতো যে আল্লাহর তরবারিকে আল্লাহর শত্রুরা ভেঙ্গে ফেলেছে। এবং এটা কখনও হবার নয়।”
.
এই কথা শুনে খালিদ (রাঃ) চুপ করে রইলেন।
এই ঘটনার কিছুদিন পরই অপরাজেয় আল্লাহর তরবারি খালিদ বিন ওয়ালিদের (রাঃ) মৃত্যু হয়।
.
তার মৃত্যুর সময় তিনি যুদ্ধের ময়দানে শাহাদা না পাওয়ায় এবং যুদ্ধকে ভয় পাওয়া কাপুরুষদের উদ্দেশ্য করে , আক্ষেপ করে বলেন “আমি উটের মত মারা যাচ্ছি, আমি মারা যাচ্ছি আমার বিছানায়, আমি লজ্জিত। অথচ কাপুরুষ গুলোর চোখ (ভয়ে) এমনকি ঘুমের সময়ও বন্ধ হয় না।”
.
[ ঘটনাটি ইবনে কুতাইবাঃ ২৬৭ এবং আল্লাহর তরবারি খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) নামক বই থেকে নেয়া হয়েছে।]
.
মৃত্যুতো একটাই তাহলে হোক না সেটা আল্লাহর পথে..
.
শরীরটা এখন একটু বেশিই খারাপ। যুদ্ধের ময়দান থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে অনেক দিন হল । এখন তিনি বুঝতে পারছেন পৃথিবীর এই জীবন থেকে অব্যাহতি নেয়ার সময়ও হয়ে এল বলে।
.
এই তো তার বিছানার পাশে বসে আছেন তার এক পুরোন বন্ধু। অসুস্থ খালিদকে দেখতে এসেছে সে,
.
খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) তার ডান পা এর ওপর থেকে চাদর সরালেন , তারপর তার বিছানার পাশে বসে থাকা বন্ধুটিকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ
“দেখোত। আমার পায়ে তুমি কি এমন এক হাত পরিমান জায়গা দেখতে পাও যেখানে তলোয়ার বা তীর বা বল্লমের কোন ক্ষত নেই?”
.
খালিদে (রাঃ) এর বন্ধুটি তার ডান পায়ের দিকে তাকালো।
নাহ! পুরো পায়েই অসংখ্য ক্ষত চিহ্ন। এক হাত পরিমান জায়গা খুজে পাওয়া গেল না যেখানে কোন ক্ষত নেই।
.
বন্ধুটি মাথা নেরে সম্মতি জানালো যে ডান পায়ে এক হাত পরিমান জায়গা খালি নেই যেখানে কোন ক্ষত চিহ্ন নেই।
.
এরপর খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) তার বাম পা এর ওপর থেকে চাদর সরাল। এরপর ডান হাত দেখালো তারপর বা হাত। এরপর সে তার বুক খুলে দেখালো আর সেই একই প্রশ্ন করল ।
.
বন্ধুটি অবাক হয় ! তার পুরো শরীরে অসংখ্য ক্ষত চিহ্ন। এত ক্ষত বিক্ষত হওয়ার পরও কিভাবে একটা মানুষ বেচে থাকে সেটাই একটা বিস্ময়।
.
“তুমি কি দেখছো না?” অধৈর্য খালিদ প্রশ্ন করে। “আমি অসংখ্য যুদ্ধে শহীদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে অংশ গ্রহন করেছি, কেন যুদ্ধের ময়দানে আমার মৃত্যু হল না?”
.
খালিদের এই প্রশ্নের উত্তরে তার বন্ধু বললঃ
“তুমি যুদ্ধের ময়দানে মরতে পারো না।”
.
খালিদ(রাঃ)ঃ কেন না?
.
“বুঝতে চেষ্টা কর খালিদ, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তোমার নাম দিয়েছিলেন ‘আল্লাহর তরবারি’ তিনি এটা (আল্লাহর ইচ্ছায়) আগেই নির্ধারন করে গেছেন যে তুমি কখনওই যুদ্ধের ময়দানে ঝরে পরবে না। যদি কোন কাফির তোমাকে হত্যা করত তাহলে তার অর্থ দাড়াতো যে আল্লাহর তরবারিকে আল্লাহর শত্রুরা ভেঙ্গে ফেলেছে। এবং এটা কখনও হবার নয়।”
.
এই কথা শুনে খালিদ (রাঃ) চুপ করে রইলেন।
এই ঘটনার কিছুদিন পরই অপরাজেয় আল্লাহর তরবারি খালিদ বিন ওয়ালিদের (রাঃ) মৃত্যু হয়।
.
তার মৃত্যুর সময় তিনি যুদ্ধের ময়দানে শাহাদা না পাওয়ায় এবং যুদ্ধকে ভয় পাওয়া কাপুরুষদের উদ্দেশ্য করে , আক্ষেপ করে বলেন “আমি উটের মত মারা যাচ্ছি, আমি মারা যাচ্ছি আমার বিছানায়, আমি লজ্জিত। অথচ কাপুরুষ গুলোর চোখ (ভয়ে) এমনকি ঘুমের সময়ও বন্ধ হয় না।”
.
[ ঘটনাটি ইবনে কুতাইবাঃ ২৬৭ এবং আল্লাহর তরবারি খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) নামক বই থেকে নেয়া হয়েছে।]
.
মৃত্যুতো একটাই তাহলে হোক না সেটা আল্লাহর পথে..
(আল্লাহ কবুল করুক । আমিন) ]
0 Comments