ক্লাস শেষে ভার্সিটির বাইরে দাঁড়িয়ে আকিব।
অপেক্ষা করছে দোস্ত আবইয়ানের জন্য।আবইয়ান নিশ্চয় লাইব্রেরি থেকে কিছু ধর্মীয় বই ধার করে আনতে গিয়েছে।পড়াশুনার
পরেও টাইম বের করে ৩ টা বই হোক বা ৪ টা হোক সে সেগুলো শেষ করে ফেলবেই।আবার
আগামীকাল জমা দিয়ে নতুন করে বই নিবে।যুক্তিতে ওর সাথে হার মানা খুব কষ্টের
কাজ।ক্লাস শেষে বইগুলো নিয়ে বের হয়ে এসে আকিবকে বলল
-"চল ক্যান্টিনে গিয়ে বসি"..!
আকিব হ্যা সুচক উত্তর দেয়ায় দুজন মিলে চললো ক্যান্টিনের দিকে।গিয়ে দু কাপ চায়ের অর্ডার দিয়েই আবইয়ান ব্যাগ থেকে বই বের করে পড়তে শুরু করলো।আকিব মাঝে মাঝে অবাক হয়, আবইয়ান যদি ওর সামনে বই পড়তেই থাকে তাহলে তো একাই পড়তে পারে, তাকে আবার ডেকে চা খাইয়ে পাশে বসিয়ে রাখার কি দরকার।ভার্সিটির
প্রত্যেকটা স্টুডেন্ট আবইয়ানকে বেশ ভালভাবেই চিনে।ওর যুক্তিসহ কথাগুলো সহ
সবকিছুই বেশ ভাল লাগে সবার।ভাল মানুষদের পিছনে বসে কথা বলা মানুষেরও অভাব
থাকেনা।আবইয়ানের সাথে থাকার দরুন আকিবকেও ভার্সিটির স্টুডেন্টসরা চিনে ভালভাবেই। পাশ থেকেই ওইপাশের টেবিলে বসা কারা যেন বলে উঠলো
-" আল্লাহ পরম দয়ালু কিন্তু সেই দয়ালুই তার ইবাদাত না করলে শাস্তির বিধান দিয়েছে,হুমকী দিয়েছে,পরকালে জাহান্নামের ভয় দেখিয়েছে..!"
অপেক্ষা করছে দোস্ত আবইয়ানের জন্য।আবইয়ান নিশ্চয় লাইব্রেরি থেকে কিছু ধর্মীয় বই ধার করে আনতে গিয়েছে।পড়াশুনার
-"চল ক্যান্টিনে গিয়ে বসি"..!
আকিব হ্যা সুচক উত্তর দেয়ায় দুজন মিলে চললো ক্যান্টিনের দিকে।গিয়ে দু কাপ চায়ের অর্ডার দিয়েই আবইয়ান ব্যাগ থেকে বই বের করে পড়তে শুরু করলো।আকিব মাঝে মাঝে অবাক হয়, আবইয়ান যদি ওর সামনে বই পড়তেই থাকে তাহলে তো একাই পড়তে পারে, তাকে আবার ডেকে চা খাইয়ে পাশে বসিয়ে রাখার কি দরকার।ভার্সিটির
-" আল্লাহ পরম দয়ালু কিন্তু সেই দয়ালুই তার ইবাদাত না করলে শাস্তির বিধান দিয়েছে,হুমকী দিয়েছে,পরকালে জাহান্নামের ভয় দেখিয়েছে..!"
কথাটা আকিবের কানে যাওয়ার আগে হয়ত আবইয়ানের কানে পৌঁছেছিলো।আবইয়া ন আকিবকে জিজ্ঞেস করলো
-আমি যা শুনলাম ওরা কি সেইটাই বলেছিল?
আকিব হ্যা সুচক উত্তর দেয়।ওরা হয়ত আবইয়ানকে উদ্দেশ্য করেই কথাটা বলেছে।এই ছেলেগুলো ঘোর নাস্তিক।আবইয়ান দাঁড়িয়ে যায়।পা ফেলে আকিবকে বললো-"চল"..!!
আকিবকে নিয়ে ওদের টেবিলে গিয়ে বসে। ওরা আবইয়ানকে উদ্দেশ্য করে বলে
-"আবইয়ান আমাদের প্রশ্নটা বা সংশয়টা তুমি শুনেছো? এটার কোন যুক্তি আছে তোমার কাছে?..!"
আবইয়ান চুপচাপ বসে আছে।আকিব অবাক হয়ে আছে।আল্লাহ সম্পর্কে ওরা এত বড় কথা বললো তবুও আবইয়ান চুপ করে আছে..!! আবইয়ান হুট করে ওদেরকে প্রশ্ন করলোঃ
-আচ্ছা তোমরা তো আল্লাহকে বিশ্বাস করোনা।করলে এরুপ বলতে পারতে না।আর তোমাদের মতে আল্লাহ তো তোমাদের জন্যেও শাস্তির বিধান রেখেছে তাইনা? ---হুম।
আমরা আল্লাহর ইবাদাত না করলে,আল্লাহ পরকালে আমাদের জান্নাত দিবেন না।এইটা কি হুমকি নয়? এটা কি ভয় দেখিয়ে তার ইবাদাত জোর করে আদায় করানো হয়না??
এবার আবইয়ান বলতে শুরু করলো -
-আমি যা শুনলাম ওরা কি সেইটাই বলেছিল?
আকিব হ্যা সুচক উত্তর দেয়।ওরা হয়ত আবইয়ানকে উদ্দেশ্য করেই কথাটা বলেছে।এই ছেলেগুলো ঘোর নাস্তিক।আবইয়ান দাঁড়িয়ে যায়।পা ফেলে আকিবকে বললো-"চল"..!!
আকিবকে নিয়ে ওদের টেবিলে গিয়ে বসে। ওরা আবইয়ানকে উদ্দেশ্য করে বলে
-"আবইয়ান আমাদের প্রশ্নটা বা সংশয়টা তুমি শুনেছো? এটার কোন যুক্তি আছে তোমার কাছে?..!"
আবইয়ান চুপচাপ বসে আছে।আকিব অবাক হয়ে আছে।আল্লাহ সম্পর্কে ওরা এত বড় কথা বললো তবুও আবইয়ান চুপ করে আছে..!! আবইয়ান হুট করে ওদেরকে প্রশ্ন করলোঃ
-আচ্ছা তোমরা তো আল্লাহকে বিশ্বাস করোনা।করলে এরুপ বলতে পারতে না।আর তোমাদের মতে আল্লাহ তো তোমাদের জন্যেও শাস্তির বিধান রেখেছে তাইনা? ---হুম।
আমরা আল্লাহর ইবাদাত না করলে,আল্লাহ পরকালে আমাদের জান্নাত দিবেন না।এইটা কি হুমকি নয়? এটা কি ভয় দেখিয়ে তার ইবাদাত জোর করে আদায় করানো হয়না??
এবার আবইয়ান বলতে শুরু করলো -
-আচ্ছা তোমরা ডিজিটাল যুগের ছেলেপুলে।তোমরা যখন স্কুলে পড়তে যেতে তখন স্কুলে ফুল সিকিউরিটি থাকতো না??
হেড স্যার নির্দেশ দিয়ে দিত না যে ছুটির আগে কেউ গেট থেকে বেরুতে পারবে না? গেট থেকে বেরুলেই বেতের পিটুনি?
-হুম সেটা ঠিক আছে।কিন্তু সেটার সাথে আল্লাহর হুমকি দেয়ার কি সম্পর্ক?
হেড স্যার নির্দেশ দিয়ে দিত না যে ছুটির আগে কেউ গেট থেকে বেরুতে পারবে না? গেট থেকে বেরুলেই বেতের পিটুনি?
-হুম সেটা ঠিক আছে।কিন্তু সেটার সাথে আল্লাহর হুমকি দেয়ার কি সম্পর্ক?
-হেডস্যার যখন তোমাদের বলতো স্কুল থেকে পালিয়ে গেলে টিসি দেয়া হবে।বা
বেতের পিটুনি দেয়া হবে।সেটাও তো হুমকীই ছিল তাইনা? তারা সেটা কেন করতো? সেই
হুমকী আর মারার ভয় কেন দেখাতো? সেখানে হুমকী দিয়ে তাদের কি নিজস্ব কোন লাভ
ছিল বা স্বার্থ ছিলো? তুমি তো স্কুলে গেলেও তাদের বেতন দিবে, স্কুলে না
গেলেও তাদের বেতন দিবে।তবুও কেন তোমাকে স্কুল থেকে পালালে বেতের
পিটুনি,স্কুলে দুদিন না আসলে কয়েক ঘা বেতের পিটুনি দেয়ার হুমকি তারা
দিয়েছিল?
-তারা হুমকি দিয়েছিল তখন কারন যাতে আমরা স্কুলের নিয়ম শৃঙ্খলা রক্ষা করে চলি,আর এতে করে যাতে একটা ভাল রেজাল্ট করতে পারি।
-তারা হুমকি দিয়েছিল তখন কারন যাতে আমরা স্কুলের নিয়ম শৃঙ্খলা রক্ষা করে চলি,আর এতে করে যাতে একটা ভাল রেজাল্ট করতে পারি।
-তুমি তো নিজেই সবটা বুঝে গেছো! তাহলে আল্লাহর সম্পর্কে এই প্রশ্নটা কেন
করলে? আল্লাহ চান যাতে আমরা সবসময় তার ইবাদাত করি,তিনি তার ইবাদাত করার
জন্য আমাদের সৃষ্টি করেছেন।তার ইবাদাত যদি তুমি বা তোমরা না করো তাহলে কি
তার কিছু ক্ষতি হবে? হবেনা।সে মহান, মহানই থাকবে।তার ইবাদাত না করলে, তার
দেয়া বিধান না মানলেই তোমরা আস্তে আস্তে খারাপের দিকে ঢলে পড়বে যার শাস্তি
জাহান্নাম।আল্লা হ
বান্দাদের ক্ষতি চায়না,এজন্যেই সে শাস্তির বিধান আরোপ করেছে যাতে করে তুমি
বা তোমরা তার ইবাদাত করো এবং তাকে বিশ্বাস করে তার বিধান মেনে খারাপ পথ
থেকে দূরে থাকো।এতে তার নিজস্ব কোন স্বার্থকতা নেই।সে আমাদের ভালোর জন্যেই
শাস্তির বিধান আরোপ করেছেন।স্কুল কলেজে যেমন তুমি না গেলেও তাদের কোন ক্ষতি
হবেনা,তুমি না গেলেও তোমাকে বেতন দিতে হবে,গেলেও দিতে হবে, তবুও তারা
হুমকি দিচ্ছে,মারার ভয় দেখাচ্ছে যাতে তুমি ভাল পথে আসো।প্রত্যেকদিন নিয়ম শৃঙ্খলা অনুসরণ করো তাই।আর যাতে ভাল একটা ফলাফল পাও।
অতপর.....ওরা নিশ্চুপ এবং লা জবাব।।
সুত্র :- ইনটারনেট
0 Comments