সন্ধ্যায় খাজুরা থেকে অটোয় উঠে রূপসায় যাচ্ছি। পাশে এক মহিলা এবং তার ছোট ছোট দুই মেয়ে। যাচ্ছে বড় মেয়েকে দেখতে। মেয়ের বাচ্চা হবে। অসুস্থতার খবর পাঠিয়েছে জামাই।
একথা বলতে বলতেই উনাকে কেজেনো ফোন করল। সঙ্গে সঙ্গে মহিলা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল। বুঝতে বাকি রইল না, ওপাশ থেকে কেউ সেই চরম দূঃসংবাদটি দিয়েছে। মহিলাকে শান্তনা দিলাম আমি এবং অটোওয়ালা ভাই। শুনলাম তার বড় মেয়ে যে কিনা অন্তঃসত্বা, কিছুক্ষন আগে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই মেয়েকে কিছুদিন আগে তার স্বামী মারধর করে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল।
আত্মহত্যা মহাপাপ। কিন্তু আমাদের দেশের গৃহবধূ আত্মহত্যা, সবসময় আত্মহত্যা হয়না।
আমি একজনকে চিনি যার স্ত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছিল আট-দশ বছর আগে। আদালত সেটাকে আত্মহত্যা বলে রায় দিয়েছিল বলে, আত্মহত্যা বলছি। কিন্তু সেই লোক এখন স্বীকার করে যে, তার স্ত্রীকে সে ও তার মা মশলা বাটা নোড়া দিয়ে মাথায় আঘাত করে মেরে ফেলেছিলো। পরে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে তা আত্মহত্যা বলে চালিয়েছে। সেই মেয়েটিও অন্তঃসত্বা ছিলো।
এমন ঘটনা দেশে অহোরহো ঘটে চলেছে। এ রোখার যে উপায় নেই, তা না। তবে তা প্রাথমিক পর্যায়ে। এক্ষেত্রে আশাব্যঞ্জক এবং একই সাথে হতাশাজনক খবর হলো, নারী নির্যাতন মামলার চেয়ে হত্যা মামলা থেকে পার পাওয়া অধিক সহজ। তাই আপনার মেয়ে বা বোন স্বামীর দ্বারা নির্যাতীত হওয়ার প্রথম পর্যায়েই আইনী ব্যবস্হা নিন। অন্যথায় তথাকথিত আত্মহত্যা করে ফেললে কিন্তু আপনি বিচার পাবেন না।
0 Comments