মহিলাদের মসজিদে ই'তিকাফ!!
মাসআলা: রামাযানের শেষ দশকে মসজিদে গিয়ে দশদিন ই'তিকাফ করা পুরুষের জন্যে সুন্নাতে মুআক্কাদা, মহিলাদের জন্যে নয়৷ বরং ই'তিকাফের জন্যে মহিলাদের মসজিদে সমবেত হওয়া জায়েযই নয়৷ তাই ই'তিকাফের নামে দাওয়াত করে মহিলাদের মসজিদে জড়ো করার প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকা উচিত৷
হাদীসে যেহেতু মহিলাদের ঘরকেই মসজিদের মান দেয়া হয়েছে, তাই ঘরে ই'তিকাফ করলেই মসজিদে ই'তিকাফের সওয়াব পাওয়া যাবে ইন-শা আল্লাহ! তাছাড়া মহিলাদের ফরয নামাযের জন্যেই মসজিদে যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে, সেখানে একটি মুস্তাহাব পালনের জন্যে নিজের ঘর ছেড়ে মসজিদে একাধারে দশদিন থাকার অনুমতি কখনোই দেয়া যায় না৷ উম্মাহাতুল মু'মিনীন আর খাইরুল কুরূনের যুগের উপর এ যুগের কিয়াস করলে হবে না৷
মহিলাদের মসজিদে ই'তিকাফে বসা জায়েয নয়, এর দলীলের জন্যে বেশি দূরে যাওয়ার দরকার নেই৷ আল্লাহ তাআলার এই ফরমানই যথেষ্ট:
ﻭﻗﺮﻥ ﻓﻰ ﺑﻴﻮﺗﻜﻦ .
( ﺳﻮﺭﺓﺍﻷﺣﺰﺍﺏ : ٣٣ )
"তোমরা (মুসলিম মহিলাগণ) নিজ গৃহে অবস্থান করবে৷" (সূরা আল-আহযাব: ৩৩)
তাহলে কী মহিলাদের ঘরে ই'তিকাফের কথা হাদীসে নেই? হ্যাঁ, হাদীসে আছে৷ ব্যাপক অর্থবোধক হাদীস৷
"হযরত ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- নবী করীম সা. ইরশাদ করেন- মহিলাদের ঘরে নামাজ আদায় করা বৈঠকখানায় নামাজ আদায় করার চেয়ে উত্তম। মহিলাদের থাকার ঘরে নামাজ আদায় করার চেয়ে গোপন প্রকোষ্ঠে নামাজ আদায় করা অধিক উত্তম।" (আবু দাউদ: ১/৮৪, ৫৭০, তিরমিযী: ১১৭৩, এই হাদীসকে শায়খ আলবানী রাহ, সহীহ বলেছেন৷)
"হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, যদি রাসূলুল্লাহ সা. বর্তমান কালের মহিলাদের অবস্থা দেখতেন, তাহলে অবশ্যই তাদেরকে মসজিদে আসতে নিষেধ করতেন। যেমন নিষেধ করা হয়েছিল বনি ইসরাইলের মহিলাদেরকে। ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ বলেন- আমি আ'মরা রাহ.-কে বললাম, তাদেরকে কি নিষেধ করা হয়েছিল? তিনি বললেন, হ্যাঁ।"
(সহীহ বুখারী: ১/২৯৬, ৮৩১, সহীহ মুসলিম: ৪৪৫)
এই দু'টি বিশুদ্ধ রেওয়ায়াত এটাই প্রমাণ করে; মহিলাদের মসজিদ হচ্ছে তাদের ঘর৷ সুতরাং মহিলারা ঘরে ই'তিকাফ করা মসজিদে ই'তিকাফ করারই নামান্তর৷ বরং মহিলারা মসজিদে এসে ই'তিকাফ করলে সওয়াবের বদলে গোনাহ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি৷
0 Comments