অপরাধীর প্রাণদন্ড হওয়া উচিৎ

          Sazid Al Sahaf
    বাদশাহ আদেশ দিলেন

¡ অপরাধীর প্রাণদন্ড হওয়া উচিৎ।



লোকটিকে শূলে চড়াও। বাদশাহর আদেশের অমান্য করে কে! লোকটিকে ধরে নিয়ে আসা হল শূলে চড়ানোর জন্য। লোকটা কাতর অনুনয়-বিনয় করল। কিন্তু বাদশাহ অনড়। লোকটা বুঝলো! বাঁচার তার কোন আশা নাই। তখন সে বাদশাহর উদ্দেশ্যে গালাগালি শুরু করলো।হাত-পা ছুড়ে চিৎকার করতে লাগলো। বাদশাহ বসে আছেন বেশ দুরে। লোকটার চিৎকার-চেঁচামেচির কোন অর্থ চিনি বুঝতে পারলেন না। পাশে বসা একজন সভাসদের কাছে তিনি জানতে চাইলেন ! লোকটি কি বলতে চায়? সভাসদ দেখলেন ভারি বিপদ!!! সত্য বললে বাদশাহ হয়তো ভয়ানক রেগে যাবেন। তাই তিনি বললেন- বাদশাহ
লোকটি বলছে…
যে ব্যাক্তি অপরাধীকে ক্ষমা করে সে সকলের শ্রদ্ধা অর্জন করে। (বাদশাহ) আমিওতো সকলের শ্রদ্ধা অর্জন করতে চাই। বাদশাহ লোকটির কথা শুনে খুব খুশি হলেন। বললেন¡ ওকে মুক্তি করে দাও। পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন আরেক সভাসদ। প্রথম সভাসদের উপর তার ছিল ভারি রাগ। সে তাড়াতাড়ি বলল- বাদশাহ ঐ সভাসদ মিথ্যাকথা বলছে। লোকটি আপনাকে গালিদিচ্ছিল। একে মুক্ত করা উচিৎ নয়। এই সভাসদের কথা শুনে বাদশাহ বেশ উত্তেজিত হলেন। রাগ করলেন তিনি। সভাসদের দিকে তাকিয়ে বললেন- ওর মিথ্যাকথা অনেক গুনে ভালো। কারন ও মিথ্যা বলছে একটা লোককে প্রানরক্ষার জন্য আর তুমি সত্যকথা বলছো দুটো লোকের ক্ষতির জন্য। তাহলে আমি কার কথা শুনবো? ক্ষতিকর সত্যের চেয়ে উপকারী মিথ্যা আমার কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। বাদশাহর কথা শুনে সভাসদরা ধন্য ধন্য করতে লাগল ।
______কি বুঝলেননন???
সংগৃহীত

Post a Comment

0 Comments