একটি এতীম ছেলে ।

লেখাঃ একাকী একটি ছেলে ।। 
 দিন শেষে আপনার পাশেই একটা বাচ্চা হাত পাতলে আপনিই আবার বলবেন দূরে যা গায় হাত দিস না ময়লা লাগবে । আচ্ছা এই বার
আমার কষ্টটা বলি...............।। আমি একটা এতিমখানা মাদ্রাসার ক্লাস ৪ শ্রেণীতে পরি ।। যদিন হতে বুঝতে শিখেছি মানে সৃত্মি মনে রাখতে শিখেছি সেদিন থেকে নিজে কে মাদ্রাসায় হোস্টেলে আবিস্কর করি । কি ভাবে এখানে এসেছি জানি না জানতেও চাই না । কি দরকার এইসব জানার জেনে কি হবে ।। তিন বেলা খাবার পাচ্ছি মাঝে মাঝে কার পুরাতন জামা পাচ্ছি বই পাচ্ছি ফ্রিতে পড়তে পাচ্ছি আর  কি লাগে।। পরাটা আমার কাছে আসল বিসয় না আসল হল থাকার জায়গা আর খাবার ।। আমি যেখানে থাকি সেখানে সবাই  যে এতীম ছাত্র তা কিন্তু না অনেক বড়লোকের ছেলেরাও পরে এইখানে ।। ক্লাস শেষে তাদের বাবা – মা তাদের কে নিতে আসে । ব্যাগ টা ছেলেটার হাত থেকে তারা নিয়ে নেয় । আমার জন্য কেউ আসে না আর কোন দিন আসবেও না। আচ্ছা ঐ ছেলে টার মত আমার জন্য কেউ আসে না কেন । আমার কি অপরাধ। আমার সবচেয়ে খারাপ লাগে সন্ধ্যার দিকে সেই সময় টা আমার  ক্ষুধা লাগে সেই ২টা বাঝে ভাত খাই আবার সেই রাত ৯.৩০ মিনিটে খাই । মাঝখানের সময়টা অনেক অনেক খারাপ লাগে তখন আমি বাথরুমে কলে গিয়ে ইচ্ছা মত পানি খাই । আমি যদি দেখি কোন বাচ্চা কে কেউ আদর করে তা হলে আমার অনেক খারাপ লা অনেক কান্না পায় তখন বাথরুমে গিয়ে কান্না করি । আচ্চা কেউ কি কোন দিন আসবে আমাকে জড়িয়ে ধরবে একটু আদর করবে আমিও তো ওর মত বাচ্চা ।। মাদ্রাসার নিচে একটা দোকান আছে সেখান থেকে অনেক বাচ্চার বাবা মা তাদের অনেক কিছু কিনে দেয় । আমি চেয়ে চেয়ে দেখি লাস্ট কবে কিছু কিনে খেয়েছি মনে নেই । কারন আমি টাকা পাব কোথায় যাও পাই তা জমিয়ে রাখি কারন ঈদের সময় কাজে লাগবে । ঈদ আসলে সবার কাছে নাকি অনেক খুশি লাগে আমার কাছে লাগে না । বরং ঈদ আসলেই আমার কাছে কষ্ট লাগে খাবারের কষ্ট । খাবারের কষ্ট যে কি আপনারা বুঝবেন না কেননা আপনারা যতই গরিব হন না কেন একবেলা না খেয়ে থাকেন না ।। আমার সারা বছর ভালই চলে যায় কিন্তু ঈদ গুলা আসলেই আমার কষ্ট শুরু হয়।। কি ব্যাপারটা আপনাদের কাছে ফালতু মনে হচ্চে ? ঈদের কিছু আগে ক্লাস ও হোস্টেল বন্ধ হয়ে যায় রান্না হয় না তখন সেই টাকা দিয়ে বাইরে থেকে চিরা অথবা মুরি কি নে খাই । চিরা ভাল বেশি অনেখন পেটে থাকে কিন্তু খেতে ভাল লাগে না ।।
এই খানে আমার মত আর দুজন আমরা ঈদের দিনে এমন ভাব করি জেন এইটাই স্বাভাবিক । ঈদের দিন থেকে ক্লাস চালু হয়া পর্যন্ত আমাদের চিরা-মুরি খেয়ে থাকতে হয় ।। অনেকের কাছে শুনি মানুষ মারা গেলে নাকি তারা হয়ে যায় । রাতের লখ তারর ভিরে আমি আমার বাবা- মাকে খুজি কিন্তু পাইনা। আমাদের জ্বর হলে কেউ মাথায় হাত দিয়ে দেখে না কেউ পানি ঢালে না । তবে একটা হুজুর আছে আমাদের অনেক খেয়াল রাখে । ষে মাঝে মাঝে আমাদের তিন জনকে কিছু টাকা পয়সা দেয় । তার পরে জামা কাপড়ের ব্যাবস্থা করে দেয় । আমার মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছা করে মায়ের আচলে মুখ মুছতে । আমি জানি আমার যদি কয়েক হাজার কোটি টাকাও থাকে তাহলে ও আমি মাকে- বাবা কে ফিরে পাব না ।

..............................
... বিঃদ্রঃ অনেক চুচিল
বুদ্ধি প্রতিবন্ধি আছে বলে মাদ্রাসা বন্ধ করতে সেই প্রতিবন্ধিদের বলতে চাই। আপনার রাষ্ট্র কয়টা এতীম ছাত্র লালন পালন করে । আচ্ছা রাষ্ট্রের কথা বাদ আপনি নিজে কয়টা এতীম কে এক বেলা খাবার দিয়েছেন ।। এই মাদ্রাসা গুলা এই রকম লক্ষ লক্ষ ছাত্রের ভরন পোষণ দেয় । না হলে এই ছেলে গুলা হয়ত হত টোকাই না হয়
হয় ছেরা মাস্তান, চোর ।।

Post a Comment

0 Comments